পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর পায়রা সেতুর টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন এর স্বজনদের সাথে সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭ টায় লেবুখালী পায়রা সেতুর দক্ষিন প্রান্তে টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটেছে। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যর বড় ছেলের নতুন বউ নিয়ে ফেরার পথে এঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ পুলিশ এবং র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পায়রা সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে জানতে পেরেছি, একটি বিয়ের গাড়ি সহ বেশ কয়েকটি গাড়ী ব্রীজ পার হয়ে টোল প্লাজায় আসে। এসময় ব্রীজের টোল চাইলে গাড়ী থেকে নেমে মহিলা এমপি’র পরিবারের সদস্য পরিচয় দেয়া হয়। তাদের তথ্য যাছাই বাছাই করার এক পর্যায়ে গাড়ী থেকে নেমে কয়েকজন যুবক টোল আদায়কারী কর্মচারীদের সাথে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আমাদের বেশ কয়েকজন স্টাফ আহত হন। অফিস রুমে এসেও স্টাফদের মারধর করেছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধোত্বন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার রাসেল, স্টাফ বাবুল, সুবজ, মাহবুব।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, পটুয়াখালী থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে পায়রা সেতুর টোল প্লাজার লোকজন ঈদের বকসিশ দাবী করে। ফেরার পথে মিষ্টি খাওয়ার টাকা দেয়া হবে বলে জানায় আমার ছোট ছেলে। বরিশাল থেকে পটুয়াখালী আসার পথে টোলপ্লাজার স্টাফরা আমার বড় ছেলে, ছোট ছেলের সাথে হঠাৎ বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ছোট ছেলের বন্ধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আশিককে টেনে হিছরে টোলপ্লাজার নিচ তলায় নিয়ে বেদম প্রহর করে। এসময় তার সাথে থাকা আইফোন, ড্রাইভারের স্মার্ট ফোন, গাড়ির ভিআইপি হর্ন, নতুন পুত্রবধূর হাতের স্বর্নের বালা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এসময় গাড়ী বহরে থাকা আশিক মাহমুদ, ড্রাইভার বিলাল হোসেন, জাকারিয়া মাহমুদকে আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে জানিয়ে
সাংসদ কাজী হেলেন বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। কারন ঘটনার সময় টোলপ্লাজার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যেখানে আমার গাড়ি টোলপ্লাজা এলাকায় নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে নিরাপদ?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
##