ঢাকাশুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. # আবহাওয়া
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আজকের ঢাকা
  5. আজকের রাশিফল
  6. আমতলী
  7. আমাদের পরিবার
  8. আর্ন্তজাতিক
  9. ইসলামী জীবন
  10. উদ্ভাবন
  11. কলাপাড়া
  12. কুয়াকাটা
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. গলাচিপা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সবচেয়ে বেশি চার্জ কেটেও লোকসানে বিকাশ!!

kamol bepari
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ ১:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
1
+1
1
+1
0

দেশের এমএফএস’র মার্কেট জায়ান্ট বিকাশ। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর ৮১ কোটি ৪০ লাখ টাকার লোকসান গুনেছে। তার আগের বছর তাদের লোকসানের পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। দেশের প্রথম অবস্থানে থাকা একটি এমএফএস’র এমন হিসাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, বিকাশের লোকসানের মাত্রা এতটাই খারাপ অবস্থাতে কখনো পৌঁছে যাবার কথা নয়। হয়তো লোকসান দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতেই প্রতিষ্ঠানটি এমন পলিসি নিয়েছে। এর কারণ হিসেবে তাদের ক্যাশ আউট চার্জের লভাংশ বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যায় বলেও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন। ক্যাশ আউট চার্জে তাদের যে পরিমাণ লাভ তাতে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ভালো হবার সম্ভাবনায় বেশি বলেই বিশ্লেষকদের মত।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্র্যাক ব্যাংকের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত বাজেটে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর করপোরেট করহার বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে। লোকসানে থাকা বিকাশকে এতদিন কর দিতে হয়নি। এখন যদি বিকাশের এই লোকসানের মাঝে আবার কর যুক্ত হয় তবে ব্র্যাক ব্যাংক তাদের শেয়ার উঠিয়ে নিতে বাধ্য হবে। তাই বিকাশও হয়তো কৌশলের আশ্রয় নিয়ে লোকসান দেখিয়ে এতদিন এই কর না দেয়ার সুবিধাটি নিয়েছে।

সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি আর্থিক নিরীক্ষায় বিকাশের কর না দেয়ার বিষয় উঠে এসেছে। ব্র্যাক ব্যাংক বিকাশের সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার। ব্র্যাক ব্যাংক তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদনটিতে বিকাশের নিরীক্ষাও অন্তর্ভূক্ত করে এ প্রতিবেদন দিয়েছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের এক নম্বর এমএফএস অপারেটর বিকাশের ক্ষতি ৮১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বিকাশের ক্ষতির পরিমাণ ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি। ২০১৯ সালে বিকাশের ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকাশের লোকসানের কারণে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যে কারণে চলতি বছরের ৬ মাসে এককভাবে ২৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা মুনাফা করা ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিত হিসাবে তা কমে হয়েছে ২৫৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বিকাশ মুনাফা অর্জন করেও ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে লোকসান দেখিয়েছে বলেই প্রতিষ্ঠানটি মনে করে। তাই ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিকাশ থেকে তাদের শেয়ার উঠিয়ে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে ব্র্যাক ব্যাংক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশের পাশ থেকে সরে দাঁড়ালে কোম্পানিটি যে কোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, বিকাশ যে কোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে গেলে তাদের গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়বেন।

উল্লেখ্য, ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশের পাশাপাশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ ও ব্র্যাক সজন এক্সচেঞ্জ রয়েছে। এরমধ্যে বিকাশের ৫১% মালিকানা রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। এছাড়া ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টসের ৯৯.৯৪৫%, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের ৯০% ও ব্র্যাক সজন এক্সচেঞ্জের ৭৫% মালিকানা ব্র্যাক ব্যাংকের দখলে।

Facebook Comments Box

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: Content is protected !!